প্রথমেই বলে রাখছি দাঁতে মূলত দাঁতে কোন পোকা হয় না। দাঁত সাধারণত ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয় এবং দাঁতে কালো গর্তের সৃষ্টি হয় এবং দাঁতে ব্যথা তৈরি হয়।


প্রথমে আমাদেরকে জানতে হবে দাঁতে ব্যথা হয় কেন?

আমরা সারারাত যখন কোন খাবার খাই সেই খাবারগুলো যদি দাঁতের ফাঁকে অথবা দাঁতের লেগে থাকে এবং সেটাকে যদি আমরা নিয়মিত পরিষ্কার না করি তাহলে সেই খাবারটি থেকে দাঁতে এক ধরনের এসিড তৈরি হয় যেই এসিড দাঁতকে আস্তে আস্তে ক্ষয় করে ফেলে বা দাঁত নষ্ট করে ফেলে। এবং আমরা দেখতে পাই দাঁতে কালো কোন একটি আস্তরণ তৈরি হয়েছে অথবা কালো কোন গর্ত সৃষ্টি হয়েছে যেটাকে আপনারা সাধারণত দাঁতের পোকা ভেবে থাকেন। মূলত পোকা থাকে না দাঁতে ব্যাকটেরিয়া থাকে যেগুলো খালি চোখে দেখা যায় না


দাঁতে ব্যথা হলে করণীয়?

দাঁতের ব্যথা যদি তীব্র হয়ে থাকে এবং যদি সাধারণ ব্যথার ওষুধ খাবার পরেও ব্যথা না যায় সে ক্ষেত্রে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে এবং পরবর্তীতে রুট ক্যানেল নামক এক ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে সেই চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে তাহলে দাঁতের ব্যথা স্থায়ীভাবে চলে যাবে এবং দাঁত নষ্ট হওয়ার হাত থেকে বেঁচে যাবে।


রুট ক্যানেল চিকিৎসা করার পরে করণীয়?

মূলত রুট ক্যানেল হচ্ছে দাঁতের ব্যথা কমানোর একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যেই পদ্ধতি ব্যবহার করে দাঁতের ব্যাথাকে স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হয় এবং দাঁতের ব্যথা বন্ধ করার পরে সাধারণত দাতে ক্যাপ করার প্রয়োজন হয়। মূলত রুট ক্যানেল করার পরে দাঁত টাটকা হয়ে যায় এবং পরবর্তীতে যদি ক্যাপ না করা হয় সেক্ষেত্রে দাঁত ভেঙে যেতে পারে তাই দাঁতে রুট ক্যানেল করার পর অবশ্যই দাঁতে ক্যাব বা ক্রাউন করে নেওয়া উচিত।


রুট ক্যানেল কোথায় করানো উচিত?

বর্তমান সময় আমাদের চারপাশে যত ডেন্টাল কেয়ার দেখবেন বেশিরভাগ জায়গায় রুট ক্যানেল করা হয় তবে অবশ্যই কোয়ালিটি সম্পন্ন চিকিৎসকের কাছ থেকে রুট ক্যানেল করাতে হবে। যদি কোন রকম ভুল করে ফেলে অথবা রুট ক্যানেল সঠিক উপায় করা না হয় সেক্ষেত্রে কিন্তু ভবিষ্যতে এই সমস্যা থেকে বড় ধরনের সমস্যা হয়ে যেতে পারে তাই অবশ্যই অভিজ্ঞ চিকিৎসকের কাছ থেকে রুট ক্যানেল করাবেন।

Post a Comment

أحدث أقدم