স্মাইল ডিজাইনিং- দাঁতের সৌন্দর্য বৃদ্ধির চিকিৎসা?

দাঁতের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি হচ্ছে স্মাইল ডিজাইনিং। এই পদ্ধতিতে দাঁতের সৌন্দর্য কয়েক গুণ বৃদ্ধি করা সম্ভব। স্মাইল ডিজাইনিং এর মাধ্যমে আমরা আমাদের আত্মবিশ্বাসকে কয়েক গুণ বৃদ্ধি করতে পারি। 



স্মাইল ডিজাইনিং কেন করা হয়?

১. দাঁতের স্বাভাবিক সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে?
২. দাঁতের রং হলুদ দেখালে?
৩. দাঁত ক্ষয় হয়ে গেলে?
৪. দাঁত ভেঙে গেলে?
৫. দাঁত না থাকলে?

১. দাঁতের স্বাভাবিক সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে?

স্মাইল ডিজাইনিং বর্তমান সময়ে একটি আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি। অনেকেরই দেখা যায় বিভিন্ন বদভ্যাসের কারণে দাঁতের সৌন্দর্য প্রায় নষ্ট করে ফেলে। দীর্ঘদিন পান খাওয়া দাঁতের যত্ন না নেওয়া, নিয়মিত ব্রাশ না করা, দাঁত দিয়ে অতিরিক্ত শক্ত খাবার চাবানো, এছাড়াও আরো অনেক কারণ আছে যে সকল কারণে দাঁতের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে। স্মাইল ডিজাইনিং করার মাধ্যমে দাঁতের এই সকল সমস্যাগুলো সমাধান করা হয় এবং দাঁতের সৌন্দর্য স্বাভাবিক করা হয়।

২. দাঁতের রং হলুদ দেখালে?

মূলত অতিরিক্ত চা কফি বা ওয়াইন কোলা বা অন্যান্য পানীয় অতিরিক্ত খেলে বা অতিরিক্ত ধূমপান করলেও দাঁতের রং হলুদ হয়ে যেতে পারে বা অস্বাভাবিক কালার হয়ে যেতে পারে। জন্মগতভাবে দাঁতের উপরের স্তর বা এনামেলের কালার অস্বাভাবিক হতে পারে। তবে এসব ক্ষেত্রে সাধারণ কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে যেগুলো নিলে এই সমস্যার সমাধান হয়ে যায় তবে যাদের সাধারণ চিকিৎসা নেওয়ার পরেও এই সমস্যাগুলো না যাবে সেক্ষেত্রে তারা চাইলে স্মাইল ডিজাইনিং করার মাধ্যমে এই সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারে। 

৩. দাঁত ক্ষয় হয়ে গেলে?

বর্তমান সময়ে একটি কমন সমস্যা দন্ত ক্ষয়। বিভিন্ন কারণে দন্ত ক্ষয় হতে পারে এর মধ্যে প্রধান কারণ হচ্ছে ব্যাকটেরিয়া। এছাড়াও চোয়ালের অস্বাভাবিক আকৃতির কারণে দন্ত ক্ষয় হতে পারে। এমন অনেকেই আছে যাদের দেখা যায় সামনের দাঁতের উপর থেকে এনামেল ক্ষয় হয়ে ডেন্টিন বা হলুদ একটি লেয়ার বের হয়ে যায়। এছাড়া এমনও দেখা যায় যে ক্ষয় হয়ে সামনের দাঁত ছোট হয়ে গিয়েছে অথবা দাঁতের বিভিন্ন জায়গায় গর্ত হয়ে গিয়েছে। বর্তমান সময়ে এই ধরনের সমস্যাগুলো খুব সুন্দর ভাবে স্মাইল ডিজাইনিং করার মাধ্যমে সমাধান করা হচ্ছে। যাদের দাঁতের উপরের স্তর নষ্ট হয়ে গিয়েছে তারা চাইলে তাদের দাঁতের উপরে আলাদা করে স্তর তৈরি করে নিতে পারেন এছাড়াও ক্ষয় হয়ে ছোট হয়ে যাওয়া দাঁত চাইলে বড় করে নিতে পারেন স্মাইল ডিজাইনিং করার মাধ্যমে।

৪. দাঁত ভেঙে গেলে

বিভিন্ন কারণে দাঁত ভেঙে যেতে পারে । বর্তমান সময়ে দেখা যাচ্ছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অ্যাক্সিডেন্ট করার কারণে দাঁত ভেঙে যাচ্ছে অথবা টিউবয়েলের হাতলের চাপ লেগে দাঁত ভেঙে যাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে অতিরিক্ত শক্ত খাবার খাওয়ার ফলে দাঁত ভেঙে যাচ্ছে। অনেকই চিন্তায় পড়ে যায় এই ধরনের সমস্যা নিয়ে এবং অনেকেই আছে এই ধরনের সমস্যা হলে কিছু ভুল চিকিৎসা নিয়ে ফেলে। এই ধরনের সমস্যা হলে স্মাইল ডিজাইনিং করার মাধ্যমে এই সমস্যা খুব সুন্দরভাবে সমাধান করা সম্ভব মাত্র ১ থেকে ২ ঘন্টায়। 

৫. দাঁত না থাকলে?

অনেকেই আছে যাদের দেখা যায় সামনের একটি দাঁত বিভিন্ন কারণে নষ্ট হয়ে গিয়েছে এবং ওই দাঁত তুলে ফেলতে হয়েছে। বর্তমান সময়ে পাশের দুই দাঁত না কেটে আধুনিক পদ্ধতিতে দাঁত লাগানোর নতুন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি হচ্ছে ফাইবারব ব্রিজ। এই পদ্ধতিতে ন্যাচারাল দাঁতের কোনো ক্ষতি ছাড়া বা কোন প্রকার রুট ক্যানেল বা ক্যাপ করা ছাড়াই দাঁত তৈরি করে দেওয়া হয়। এটি ২ থেকে ৩ ঘন্টার চিকিৎসা প্রক্রিয়া। মনে রাখবেন আপনাকে সঠিক চিকিৎসা পেতে হলে অবশ্যই যারা এই ধরনের চিকিৎসা করে তাদের কাছ থেকেই এই চিকিৎসাগুলো করে নিতে হবে।



স্মাইল ডিজাইনিং এর খরচ?

স্মাইল ডিজাইনিং এর খরচ নির্ভর করে মূলত দাঁতের সমস্যার উপর আপনার কয়টি দাঁতের সমস্যা এবং কি ধরনের সমস্যা সে বিষয়গুলোর উপর নির্ভর করবে কত টাকা খরচ হবে খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেতে আমাদের চেম্বারে ভিজিট করুন অথবা আমাদের ইমু অথবা হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে আপনার নাম ঠিকানা মোবাইল নাম্বার সহ দাঁতের একটি ছবি পাঠিয়ে দিন। আমরা আপনাকে জানিয়ে দিব আপনার চিকিৎসা খরচ কত টাকা হবে।

চিকিৎসা বিষয়ক বিস্তারিত তথ্যের জন্য কল করুন অথবা সরাসরি আমাদের চেম্বারে ভিজিট করতে পারেন।

আমাদের ঠিকানা
এম, আই ডেন্টাল কেয়ার
সোনাতলা মোড়, বাগেরহাট
ইমু ও হোয়াটসঅ্যাপ 01650-198767

Post a Comment

Previous Post Next Post